বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলা পূর্ব কলার ঝিড়ির ইউনুস (মেম্বার পাড়ার) ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়া সরকারী কাঁচা রাস্তা ও ব্রিজের বেহাল দশা। বর্ষাকালে বৃষ্টির বন্যায় প্লাবিত হলে ব্রিজ সাঁকো ও চলাচলের সরু রাস্তা ব্যবহারে অনুপযোগী হয়। এই করুণ দুর্দশা কেবল ভুক্তভোগী ছাড়া বুঝার কেউ নেই। এদিকে সুযোগ পেয়ে জমির মালিকরা রাস্তার কেটে ছেঁটে নিজের জমি বড় করার ধান্দায় মেতে উঠেছেন কেউ।
জনপ্রতিনিধিরা শুধু নির্বাচনের সময় ভোট চাওয়ার জন্য পাড়া মহল্লা চষে বেড়ায়। নির্বাচনে জয়ী হলে তাদেরকে হুঁইসেল দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়, এমনটাই ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর দাবি। যেখানে মানুষ চলাচলের অনুপযোগী, সেখানে গবাদি পশু গরু ছাগল হাটবাজারে নেওয়ার কথা ভাবতেই মাথায় হাত চলে আসে। বাঁসের সাঁকো দিয়ে পারাপার হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।
মানুষ মৃত্যুবরণ করলে তাকে কবরস্থ করার জন্য লাশ নেওয়ার অবস্থা করুণ পরিণতি। প্রতিদিন রাত দুপুর সকাল সন্ধ্যা অসংখ্য ছোট বড় মানুষ ও ছাত্র-ছাত্রীরা যাতায়াত করে। মোটরসাইকেল, পিকাপ, ছিএনজি, টলি, এই সমস্ত যানবাহন গাড়ি চলাচলে দুর্ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতেও গড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
স্থানীয় ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর করুন পরিমিতির অবস্থা জরাজীর্ণ রাস্তা, সাঁকো, ব্রিজের প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মেরামতের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয়রা জনপ্রতিনিধিদের ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘ ৭/৮ বছর ধরে এই রাস্তাটির কোন বরাদ্দ বা কার্যক্রম বন্ধ। অনেকেই এই বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারের ভয়ে ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে চান না।
দিন দিন রাস্তা ব্রিজ জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে, বর্ষার মৌসুমে ছোট ছোট কচি কোমল ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করতে কষ্ট হয়ে যায়। রাস্তাটি ব্রিক সলিন ও কালভার্ট নির্মাণে এলাকার জনপ্রতিনিধি মেম্বর, চেয়ারম্যান ও জনপ্রশাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে পৃথক তিনটি আবেদন করেছিলেন এলাকাবাসী। তাতে কোন লাভ হয়নি। পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার তাঁরা উভয় বিষয়টা দেখবে বলে প্রতিনিয়ত আশ্বাস দিয়ে আসছেন। “নকী টিভি”র প্রতিবেদক স্পট ঘুরে এসে এসব তথ্য প্রতিবেদন দিয়েছেন।