সব চশমার দোষ, সাদা চশমা পরে কুষ্টিয়ার মৌলবি সাহেব সবাইকে দেখেন খারেজি৷ আর কালো চশমা পরে নারায়ণগঞ্জের মৌলবি সাহেব সবাইকে দেখেন কাফির ও বিচি। আগে দেখতাম, বিচি বিচিহীন শব্দগুলো উচ্চারিত হতো অশ্লীলভাষীদের মুখে। এখন দেখি একে শিল্পের রূপ দেওয়া হয়েছে পিরের দরবার থেকে।
মাওলানা আরিফ বিন হাবিবকে রঞ্জন বলল মিথ্যুক আর মৌলভি সাহেব আরো এক ধাপ আগ বেড়ে রঞ্জনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে মজলুম মাওলানাকে বলে বসলেন কাফের। এমনকি তার ক্যারিয়ার ক’দিন লাস্টিং করবে, এ নিয়েও করে বসলেন বিরাট ভবিষ্যতবাণী। বড় ভয়াবহ অবস্থা।
যখন এক মাওলানা বলে বসলেন, আল্লাহ আমেনার কানে কানে বললেন আবদুল্লাহ নেই তো কী হয়েছে, আমি মুহাম্মাদের আঙ্গুল ধরে তাকে সাত আসমান, লাওহে কলম, আরশ-কুরসি সব ঘুরিয়ে আমার পাশে এনে বসাব। এমনকি হাত দিয়েও নিজের চেয়ারের এক পাশে ইঙ্গিত করে দেহবাদকে আরও সুদৃঢ় করলেন। তখন এই মৌলভি ব্লাক গ্লাস চোখে পরে হুংকার দিলেন আমি মজলুমের পক্ষে।
রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর শান নিয়ে কেউ কিছু বললেই বিচি মৌলবিরা মওজু খুঁজতে চশমা লাগিয়ে বসে পড়ে৷ একজন বিচিহীন মৌলভি হিসেবে তিনি ফাতওয়া দিলেন। হাদিস হিসেবে না বললে কেন মওজু হবে? বুজুর্গরা রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর শানে এমন কত কিছু বলেছেন, যা হাদিসে নেই।
তখন পরোক্ষভাবে তিনি যে দেহবাদী আকিদার পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা পালন করলেন, এ বিষয়টা তার চামচারা তাকে অবগত করেনি। আর অনলাইনে না থাকার সুবাদে নিজেও হয়তো বিষয়টা ঠাহর করতে পারেননি। হ্যাঁ, আপনি দেহবাদীদের পক্ষে থাকুন, যারা ইসলামের ওপর জুলুম করে৷ আর আহলুস সুন্নাহর অনুসারী মজলুমদের বিপক্ষে থাকুন, যাদের ওপর রঞ্জনরা জুলুম করে।
সর্বদা স্রোতের বিপরীতে থাকতে গিয়ে হকের বিপরীতে চলে গেলেও চাটুকাররা আপনাকে তা টের পেতে দেবে না। ওদের নিয়ে সুখে থাকুন। সুখী সংসার গড়ুন। চাটুকারের রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, তাকফিরের ফাতওয়া যেন ঝলসানো রুটি।’