বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক নেতা ও অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদক এস. এম. মোরশেদে’র নেতৃত্বে মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তম দ্বিতীয় গণজমায়েত বিশ্ব ইস্তেমায় আগত মুসল্লিদের দিনভর বিনামূল্যে খানা, ঔষুধ সেবা দিয়েছেন সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠন। মিনারেল পানি, মাক্স, লজেন্স, টুপি, নাপা এক্সটেন্ড (জ্বর ব্যাথার জন্য), গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, কাশ সর্দির ওষুধ ও স্যালাইন ইত্যাদি সামগ্রিক মুসল্লিদের মাঝে বিতরণ করেছেন।
এতে জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন গাজীপুর জেলা কমিটি, ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন, জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন ও ধর্ম বিষয়ক উপকমিটি (এফবিজেও) কেন্দ্রীয় কমিটির যৌথ উদ্যোগে ইজতেমার মুসলিমদেরকে বহুমুখী সেবার সহায়তা করেছেন।
সাংবাদিক সংগঠনের ভিন্ন ধর্মীয় ইসলামিক সেবার ভুষিও প্রশংসা করেছেন (মহিলা সংরক্ষিত-১৯) ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাখি সরকারসহ সর্বস্তরের সাংবাদিক ও টঙ্গী ইজতেমার স্থানীয় জনগণ। রাখি সরকার রবিবার সকালে সেবা কেন্দ্রের স্টোল পরিদর্শন করে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন গাজীপুর জেলার সেবামূলক এই মহৎ উদ্যোগে আমি অত্যন্ত খুশি এবং এটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
আপনাদের মতন সমাজের অন্যান্য বৃত্তবান ও সামাজিক সংগঠনগুলি এগিয়ে আসলে ইজতেমায় আগত অসহায় মুসল্লিদের কিছুটা হলেও আপ্যায়ন ও আশ্রয়স্থল হত। তিনি সাংবাদিক সংগঠনের সকলের জন্য দোয়া করে বলেন, আগামীতে আপনাদের সাথে থাকব এবং আপনারা যখনই আমাকে ডাকবেন, আমি আপনাদের ডাকে সাড়া দিব। জানা গেছে তিনি ব্যক্তিগত অর্থায়নে মুসলিমদেরকে সহায়তা প্রদান করেছেন।
এস. এম. মোরশেদে’র নেতৃত্বে টিমের সাথে থেকে টানা ছয় দিন বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লীদের সেবা দিয়েছেন, ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশনের অর্থ সম্পাদক, মুহা. আবু তাহের পাটোয়ারী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, এম. এম. তোহা, ধর্ম বিষয়ক উপকমিটি (এফবিজেও) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব, কে. এম. নূহু হোসাইন (মাসুদুন্নবী), জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন গাজীপুর জেলা সভাপতি, আতিকুল রহমান সরদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী হাওলাদার, কার্যকরী সভাপতি, শাহাদাত হোসেন, সমাজ ও সভা বিষয়ক সম্পাদক, বিপ্লব সরকার, মুহা. শাজাহান, মুহা. মাসুদ আলম, এম. এস. মনজু রনি, মুহা. মন্টু, মুহা. আলমগীর, মুহা. মিজান প্রমুখ।
প্রসঙ্গ, করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বিরতি দিয়ে ২০২৩ সালে প্রথম পর্ব ওলামায়ে কেরামদের বিশ্ব ইজতেমা গত ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়। ১৫ জানুয়ারি জোবায়ের গ্রুপের ইজতেমা সফলভাবে শেষ হওয়ার চার দিন পর সাদপন্থী গ্রুপের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় ২০ জানুয়ারি। গতকাল (২২ জানুয়ারি-২৩ ইং) রবিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ তথ্য জানান। সভায় বিশ্ব ইজতেমার স্থান টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীর ও আশপাশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়।
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আপনারা জানেন ইজতেমা করতে গিয়ে মতবিরোধ চলছিল এবং এখনও আছে। মতবিরোধ নিরসনে এর আগে আমরা দুই ভাগে ইজতেমা করার পরামর্শ দিয়েছিলাম, সেভাবে তারা সুসম্পন্ন করেছে। এবারও ঠিক সেভাবেই। এক দলের নেতা হলেন জনাব জুবায়ের (মাও. জুবায়ের আহমদ), অন্যদলের নেতা হচ্ছেন ওয়াসেক সাহেব (মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম)। তারা দুজনেই আগে একসঙ্গে তাবলিগ করতেন, এখন ওনারা দুজন দুপ্রান্তে চলে গেছেন।