এডিসি হারুন-এডিসি সানজিদার পরকীয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই রায়হান-তোহফা লিপার প্রেম পরকীয়া বিবাহবিচ্ছেদে ফেসবুক সোশাল মিডিয়া পাড়া গরম। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক পদক প্রাপ্ত জাতীয় সংস্কৃতিক সংগঠন “কলরব” (রেজিঃ নং- ৭২৫৩/৯) যাহার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পরিচালক ছিলেন, এদেশের লক্ষ কোটি ইসলাম প্রেমিক ও যুবকদের হৃদয়ের স্পন্দন, ইসলামী সংস্কৃতি ও সংগীত অঙ্গনের কিংবদন্তি সংগীত গুরু, হাজারও অমর সুরদ্রষ্টা ওস্তাদ আইনুদ্দীন আল আজাদ (রহ.)। তাঁর সুরেলা সংগীত সকলের হৃদয়ে থাকলেও তিনি আমাদের মাঝে নেই, ১৮ জুন শুক্রবার ২০১০ সনে গাড়ি এক্সিডেন্টে দুনিয়া থেকে চিরতরের জন্য বিদায় নেন। তিনি একজন খ্যাতিমান প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, ওয়েজ-বক্তা, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের একজন প্রভাবশালী ছাত্রনেতা এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন।
প্রথম স্ত্রী রুকাইয়া থাকা অবস্থায়, রায়হান ও লিপার জড়িয়ে ধরা পরকীয়ার ছবি।
তিনি তাঁর প্রখর মেধা প্রজ্ঞা ও গুণগত আচার-আচরণ দিয়ে জয় করেছিলেন দেশ-বিদেশের লক্ষ-কোটি ভক্তদের হৃদয়ের ভালোবাসা। তাঁর সুলালী কন্ঠের ওয়াজ, বাস্তবমুখী ও প্রতিবাদী সঙ্গীত গেয়ে মন কেড়ে নিয়েছিলেন এদেশের মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির ছেলে ও ইসলাম প্রিয় যুবকদের। শুধু তাই নয়, সকল ঘরানার ওলামা-তলাবা, রাজনৈতিক- অরাজনৈতিক গুণী জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ সহ দেশের আপমার জনসাধারণের ভালবাসার গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। আইনুদ্দীন আল আজাদের সংগীত চর্চার শুরু থেকে এপর্যন্ত তার শিষ্যদের সঙ্গীত চর্চার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার ফলে কলেজ ভার্সিটির ছেলেরা মদ- জুয়া, ইয়াবা আসক্ত, সিগারেট, নারী আসক্ত, যাত্রাপালা ও সিনেমা হল ছেড়ে ইসলামী সংগীতের প্রতি আসক্ত হয়ে দ্বীনের পথে এসে ইসলামি জীবন ব্যবস্থা মেনে চলছেন, নামাজ, রোজা, মুখে দাড়ি, মাথায় টুপি উঠেছে। সিনেমা হলগুলো ৮০% বন্ধ হয়ে গেছে। এটা একমাত্র ইসলামি সাংস্কৃতি সংগঠন কলরব সহ অন্যান্য ইসলামি সংগীত সংগঠন ও ওয়াজ-মাহফিলের ফসল।
পরকীয়া করে বিবাহিত দ্বিতীয় স্ত্রী লিপা ও রায়হান গেঞ্জি প্যান্ট পরে কোথাও যাচ্ছে।
আইনুদ্দীন আল আজাদ (রহ.)’র কষ্টের ঘাম ঝরা, নিজ হাতে গড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাংস্কৃতি সংগঠন সেই কলরবের একজন খারাপ অসৎ চরিত্রের অধিকারী আবু রায়হানের দ্বারা বারবার কলরব বিপথগামী, কলঙ্কিত ও ঘৃণার পাত্র হবে, এটা সংগীত প্রেমিক ও জাতি মেনে নিতে পারে না। আবু রায়হান অসৎ চরিত্রের ও একাধিক নারীর লোভী সেটা কলরবের অন্যান্য শিল্পীরা ভালো করেই জানেন। একজন সংগীত তারকা শিল্পীকে যুবকদের পাশাপাশি নারীরা পছন্দ করতেই পারে। সেই সুযোগ ব্যবহার করে নারীদের সাথে প্রেম বিনিময়ে, পরকীয়া, ব্ল্যাকমেইল প্রতারণা কেন হবে? আমার জানামতে আইনুদ্দিন আল আজাদকেও এক নারী ভক্ত কঠিন ভাবে পছন্দ করেছিলেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের নায়ক-নাইকারা একে অপরের সাথে প্রেম বিনিময়ে, ব্ল্যাকমেইল, পরকীয়া, অবৈধভাবে মেলামেশা করে সেটা একাধিকবার প্রমাণিত, বিয়ের খবর নেই সন্তানের বয়স ৬ মাস এক বছর। কিন্তু চলচ্চিত্রের সেই কাহিনী ইসলামী সংগীত অঙ্গনে আলেমদের মাঝে কেন হবে? মিস্টার নায়ক শাকিব খান থেকে মিস্টার শিল্পী আবু রায়হান কোন অংশে কম নয়। রায়হান আইনুদ্দিন আল আজাদ থাকাকালীন শিশু ছিল। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সাথে সাথেই যৌবনের ধাক্কায় কুত্তা ও রাস্তার পাগলের পা বিশ্রাম নেয় কিন্তু মোবাইল ফোন বিশ্রাম নিতে পারে না। এমনকি কোন সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামে গেলেও ফোন চুম্বকের মতন কানের সাথে লাগানো থাকে। নয়ক শাকিব খান-অপু বিশ্বাস+বুবলি, নায়ক রাজ-পরিমনি, পুলিশের এডিসি হারুন-এডিসি সানজিদাদের মতন যদি একজন ইসলামী সংগীত অঙ্গনের শিল্পীদের এই ক্যারেক্টার হয়। তাহলে নায়ক শাকিব খান ও রাজ-পরিদের চলচ্চিত্র অঙ্গন ও ইসলামী সংগীত অঙ্গনের মধ্যে পার্থক্যটা রইলো কোথায়?
সংশ্লিষ্টদের কে বলছি, আবু রায়হানকে চূড়ান্ত বহিষ্কার করে কলরবকে কলঙ্ক মুক্ত করে জাতিকে জানিয়ে দেন যে, অন্যায় করলে কাউকেও ছাড় দেওয়া হয় না। কয়েক বছরের পূর্বে মূল কলরবের সঙ্গে শিল্পী আবু আবু সুফিয়ানের সাথে একটা বিশাল দ্বন্দ্ব হয়েছিল, এমনকি আবু সুপিয়ানকে পুলিশেও গ্রেপ্তার করেছিলেন। তার দ্বারা কলরবের তেমন কোন ক্ষতি হয় নাই, পরে তিনি দ্বিতীয় কলরব নাম দিয়ে আলাদা সংগঠন করে মাঠে ময়দানে কাজ করে যাচ্ছেন। একাধিক বিবাহ করা নাজায়েজ নয়, শর্ত সাপেক্ষে ৪টি বিবাহ জায়েজ করেছেন ইসলাম। সমস্যা কোথায়? এক নারীতে হবেনা চারটি বিবাহ করো, তবে একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়া ব্ল্যাকমেইল করার অধিকার কে দিয়েছে। অপরদিকে নারীকে দিয়ে সুখের সংসার না হলে সম্মানের সাথে তালাক দেওয়ার অধিকারও ইসলাম দিয়েছেন।
রায়হানের পরকীয়া করে বিবাহিত দ্বিতীয় স্ত্রী লিপা।
আবু রায়হান আলেমা তোহফা রুকাইয়াকে বিবাহ করেন এখন থেকে ৮ বছর পূর্বে, তাকে বিবাহ করার ইতিহাস নাই বললাম। হালাল স্ত্রী ঘরে থাকা অবস্থায় অন্য মেয়েদের সাথে ইটিশ পিটিশ, সেক্সুয়াল বিডিও ফাঁস, অবৈধ মেলামেশা, প্রেম পরকীয়া কেন হবে। রায়হান এক অডিওতে বলেছেন তার মা-কে নাকি রুকাইয়ার দোষ ত্রুটির ব্যাপারে অভিযোগ দিয়েছেন। রুকাইয়ার বিরুদ্ধে সেই অভিযোগগুলা কি ছিল, তাকে তালাক দিল কি কারনে খতিয়ে দেখা দরকার। রায়হানের একাধিক নারীর সাথে পরকীয়া প্রথম স্ত্রী রুকাইয়ার কাছে সরাসরি হাতেনাতে ধরা খাওয়া বা ফাঁস হওয়ার কারণে কি তার বিরুদ্ধে ইস্যু তৈরি করে তাকে তালাক দিয়েছেন?
রায়হানের পরকীয়া করে বিবাহিত দ্বিতীয় স্ত্রী লিপা
অন্যদিকে আবার দ্বিতীয় বারে পরকীয়া করে আবু রায়হান টিকটকার লিপা পারভীনকে বিবাহ করেন, যদিও রায়হান এক অডিওতে বলেছেন আমি দ্বিতীয় বিবাহ হালাল ভাবেই করেছি, ওকে ফাইন। মডেল টিকটকার মেয়েকে বিবাহ করা তো দোষের কিছু নেই! অপরাধ জগতের খারাপ মেয়ে, হিন্দু, অমুসলিম, খ্রিষ্টান নারীদের দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে মুসলিম বানিয়ে বিবাহ করলে তো বহু সাওয়াবের অধিকারী। গত এক দুই বছর পূর্বের ঘটনা: ভারত দেওবন্দের এক প্রভাবশালী ক্বওমী আলেম ভারত ঢালিউডের এক অভিনেত্রীকে বিবাহ করেছেন। পরবর্তীতে অভিনয় ছেড়ে দিয়ে স্বামীর হুকুম ও শরীয়ত মেনে পর্দা করে চলছেন ছেলে- মেয়ে একে অপরকে পছন্দ করার অধিকার তো শরীয়ত দিয়েছেন, পছন্দ হলে ছেলে-মেয়েকে বা মেয়ে ছেলেকে অথবা পরিবারকে সরাসরি বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে মুসলিম রিতি-নিতি মেনে হালাল করে বিবাহ করতে হবে। প্রেম পরকীয়া হবে কেন?
কলরব কর্তৃক রায়হানকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রেস বিজ্ঞপ্তি
পরিশেষে ইসলামী সংস্কৃতি সংগঠন কলরবের হাই কমান্ডে থাকা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও আলেমে দ্বীন মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা এমতিয়াজ আলম সহ সংস্কৃতি জগতের মহাগুরু মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ও কলরবের পরিচালক রশীদ আহমেদ ফেরদাউস। আপনারা শিল্পী আবু রায়হানকে চুড়ান্ত বহিষ্কার করে কোটি ভক্তের আস্থা অর্জন করুন। অন্যথায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে “কলরব” সকলের কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে দাঁড়াবে, রায়হানের মতন পিচ্চি ছেলে কলরবে না থাকলে কলরব ধ্বংস হবে না। ব্যক্তির অপবাদ অন্যায় আচরণ কেন কলরব সংগঠন নিবে। কেবল আপনারাই পারবেন কলরবকে বাঁচাতে, আইনুদ্দিনের শূন্যতায় কলরব যখন ধ্বংস হয় নাই, অতএব রায়হানের মতন ছেলে না থাকলে কলরব ধ্বংস হবেনা- ইনশাআল্লাহ। বরংস রায়হান কলরবে থাকলে নিশ্চিত কলরব ধ্বংস হবে।
আবু রায়হানের প্রথম স্ত্রী আলেমা তোহফা রুকাইয়ার উপরে অমানবিক অত্যাচার ও একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেম কাহিনীর স্টেটমেন্টের চুম্বক অংশ হুবহু তুলে ধরা হলো:
১-এক. আমিই আবু রায়হানের প্রথম স্ত্রী ছিলাম। আমি তার পরকিয়ার প্রুফ গুলো ভাইরাল করি কিনা এটার জন্যে তারা আগে থেকেই আমার নামের স্ক্রিনশট গুলো বানিয়ে রেখেছে। যেদিন আমি তাদের দুজনের পরকিয়াটা হাতেনাতে ধরেছিলাম সেদিন আমার সুইসাইড করার মতো অবস্থা হয়েছিলো। ৮-আট বছরের রানিং সংসারে হ্যাপিনেস ছিলো কিন্তু মেয়ে জনিত কারণে অশান্তিটাই বেশী ছিলো। বিয়ের পরে ঢাকায় গিয়ে ২-টা বছর শুধু একটা খাট ছিলো আর কিচ্ছুই ছিলো না। বিয়ের ২-বছর হওয়ার আগেই তার সেক্সুয়াল অডিও ফাস হয়, তখন আল্লাহই জানে আমি তার রিকুয়েষ্ট আর ভালোবাসার কথা শুনে আমার ফ্যামিলিকে কি করে ম্যানেজ করেছিলাম ডিভোর্স নেয়া থেকে।
আমি তার কসম শুনে আর গুছিয়ে মিথ্যা বলা দেখে ভেবেই নিয়েছিলাম তার নামে এগুলো বানিয়েছে। আমি সেই অশ্লীল সেক্সুয়াল কথা বলা মেয়েটাকে আমি বলে দাবী করে আমার রাগে উন্মাদ ফ্যামিলিকে ম্যানেজ করেছিলাম। এন্ড এখন বলতেছি অল্লহি ওই মেয়ে আমি ছিলাম না। একেরপর এক মেয়ের সাথে রিলেশন এর খবরে আমি দিনদিন আস্ত পাগলে পরিণত হচ্ছিলাম। যথেষ্ট ম্যাচিউরিটির সাথে হ্যান্ডেল করতে চেয়েছিলাম কিন্তু সে তার সিংগেল ইমেজ আর মেয়েদের নেশা কিছুতেই কাটাতে পারবেনা। প্রুফ পাচ্ছিলাম তাকে দেখাচ্ছিলাম আর সে আমায় পাগল বলে আখ্যায়িত করতেছিলো। নিজের মাথা দেয়ালে আঘাত করতাম, কুত্তার বাচ্চা বলে গালিগালাজ করতেও দ্বিধা করিনি।কখনো কখনো নিজেই তালাক পর্যন্ত চেয়ে বসতাম, নখ দিয়ে তাকে আচড়ে পর্যন্ত দিতাম কিন্তু সে নির্বিকার। পরিবর্তন অসম্ভব তার জন্যে, সে বাহিরের মেয়ে ছাড়বেইনা কিছুতেইনা।
আমি এক আলেম ফ্যামিলির মেয়ে প্লাস নিজেই একজন আলেমা আর ইন্ট্রোভার্ট হওয়ায় তার মর্ডান পরিবর্তন গুলো ও আমার জন্যে প্রেশার ছিলো। গেঞ্জি টাউজার আর হ্যাট এটা আমার স্বামী হিসেবে আমার জন্যে মর্মান্তিক কষ্টের ছিলো। টিকটক সিনেমা এগুলোতে কন্টিনিউ হওয়া এন্ড নামাজ কালাম ছেড়ে দিয়ে বাহিরে বিজি থাকা এগুলো আমার জন্যে মৃত্যুর চেয়েও কষ্টের ছিলো।
একটা স্ত্রী কতটা সহ্য করতে পারে। আট বছরের বিবাহিত লাইফে আমার পড়াশোনা সহ প্রায় পাচ বছর বাচ্চা নেয়ার ব্যাপারে কড়াকড়ি নিষেধ ছিলো রায়হানের। অত:পর বাকি তিন বছর কন্সিভ করার অনেক চেষ্টা করেও হচ্ছিলো না, অথচ আমি তিনজন গাইনি দেখিয়েছি তিনজনেই বলেছেন আমি ফিজিক্যালি একদম ফিট। জানিনা এখানে রায়হানের কোন ক্যালমা ছিলো নাকি আল্লাহ আমাকে বাচিয়ে নিবে বলেই একজন চরিত্রহীনের সন্তান আমার গর্ভে দেয়নি। অনেক তিলে তিলে আট বছরে নিখুঁত করে সাজিয়েছিলাম সংসারটাকে।
২-দুই. কলরবে বিচার চেয়েছিলাম। উনারা আমাকে বিচার দেয়ার চেয়ে রায়হানকে কলরবে রাখার লাভের পরিমানটা পরিমাপ করেছিলেন বেশী হয়তো তাই তাকে বহিস্কারের বদলে উলটা তাকে নিয়ে মাতামাতিই বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
৩-তিন. লিপা পারভীনের সাথে কথাও হয়েছিলো আমার। আমার ডিভোর্স হয়ে যায়। খবর পাই তারা বিয়ে করেছে। পরে রায়হান আমার ভাইদের ফোনকরে বলে লিপা নাকি রায়হানকে ব্লাকমেইল করে বিয়ে করেছে এগুলো বলে রায়হান ক্ষমা ভিক্ষা চায়।এন্ড বলে সে ব্যাক করবে। যেহেতু তালাকটা এক তালাক ছিলো ভেবেছিলাম ওদিকে সব মিটমাট করে সে ব্যাক হলে মেনেই নিবো। লিপা তার আগের স্বামীর সাথে আট বছর প্রেম করে বিয়ে করে ১-বছর সংসার করে নিজেই তাকে তালাক দিয়ে ১১-লাখ টাকা মোহরানা নিয়ে ঢাকায় এসে বিজনেস জুড়ে বসে। ঢাকার মতো জায়গায় সে একা একটা থাকতো একটা বাসা ভারা নিয়ে। তাকে রিকুয়েষ্ট করার পরেও সে সরে যায়নি পরকিয়া থেকে।
লিপা যে পিকচারটা প্রোফাইল দিয়েছে ওই সময়টাতে রায়হান আমার স্বামীই ছিলো। অল্লহি রায়হান আমাকে এই কসমটা দিয়েছিলো যে আমি জীবিত থাকা অবস্থায় যদি দ্বিতীয় বিয়ে করে সাথে সাথে তালাকে মুগাল্লাজা হয়ে যাবে। তবে এখন এসব তার আর লিপার ব্যাপার। আল্লাহ না করুণ এই কসমে যদি তাদের বিয়ে জায়েজ না হয় তাহলে তারা ব্যাভিচারে লিপ্ত এবং তাদের জারজ সন্তানও আসতে চলছে হয়তো। রায়হান হয়তো এখন এটা অস্বীকার করবে, সে সবই পারে। তার কাছে হালাল হারাম জায়েজ নাজায়েজ এগুলো খ্যাত ব্যাপার
৪-চার. রওশন নামের একটা মেয়ের সাথে রায়হানের ফিজিক্যাল রিলেশনের কিছু পিকচার হাতে আসে। তাদের অশ্লীল কথাবার্তা গুলো কিছুদিন আগের ছিলো।
এতো ঘৃণা লেগেছে জাস্ট আল্লাহর কাছে হাউমাউ করে কান্না করে শুকরিয়া আদায় করেছি যে আল্লাহ আমাকে বাচিয়েছো। আমার জন্যে আপনারা দুয়া করবেন যেনো দ্বীনদার পরহেজগার বিশ্বাসী একজন জীবনসঙ্গী আল্লাহ আমায় মিলিয়ে দেন। আমাকে স্ত্রী রেখে সে রওশনকেও বলেছে তিনবছর আগেই ডিভোর্স হয়েছে। এখন রওশনের কাছে বলেছে লিপা ব্লাকমেইল করে বিয়ে করেছে। ও আচ্ছা আরও দুজন মেয়ে আমাকে প্রুফ দিয়েছে তাদের সাথে রায়হানের রিলেশন।
লেখক, আলোচক, গবেষক, কলামিস্ট, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী। kmnuhuhossain@gmail.com